বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নেক্সট লেভেলে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সাররা।‌ ঈদের ছুটিতে আর সবাই যখন একটু আয়েশ করে পায়েশ খাওয়ার চিন্ত করছে তখনও ফ্রিল্যান্সারদের মাথায় কেবল কাজ আর কাজ। ঈদ-উল-ফিতর ২০২২ কে সামনে রেখে বিডিনিউজ ট্র্যাকারের ঈদের ছুটি নিয়ে বিশেষ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ফ্রিল্যান্সারদের ঈদ যেমন হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে ঈদের দিনটা কোনভাবে একটু ফুরসত মিললেও আগের দিন পরের দিন থেকেই চলতে থাকে তাদের কর্মব্যস্ততা। কিন্তু বিপত্তি অন্য খানে। অনেকেই ঈদ করতে ল্যাপটপ ও প্রয়োজনীয় ডিভাইস নিয়ে গ্রামে চলে গিয়েছেন। সেখানে সমস্যার নাম ইন্টারনেট। ২০২২ সালে এসেও বাংলাদেশের বেশিরভাগ গ্রামে ঘরের ভেতর থেকে ভালো ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন একাধিক ফ্রিল্যান্সার। ধামরাইয়ের চর-সুঙ্গুর গ্রামের ফ্রিল্যান্সার মোঃ মাসুম মোল্লা আলহাজ্ব বলেন,‘দেশের অর্থনীতিতে ফ্রিল্যান্সারদের অবদান দিনকে দিনে কেবল বেড়েই চলেছে। আমাদের সরকারের কাছে তেমন কোন প্রত্যাশা নাই। প্রত্যাশা কেবল একটিই নিরবিচ্ছি দ্রতগতির ইন্টারনেট।’

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশে গড়ে উঠছে ডিজিটাল অর্থনীতি। আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার ও আইটি সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে। আইটি খাতে রফতানি ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এ আয় ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে এবং জিডিপিতে সফটওয়্যার ও আইসিটি সেবাখাতের অবদান ৫ শতাংশে উন্নীত হবে।

কোভিড-১৯ এসে দেখিয়ে দিয়েছে ৮০% জব ঘরে বসেই করা সম্ভব। আগামীর বিশ্বে সেই সকল দেশগুলোই এগিয়ে যাবে যাদের একটা শক্তিশালী ফ্রিল্যান্সার জনগোষ্ঠী থাকবে। প্রশ্ন হচ্ছে মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে এখনও কেন গ্রামে গেলেই ইন্টারনেট গতির জন্য কেঁদে মরতে হয় ? মুখে চাপাবাজি করে তো লাভ নাই। মানুষ সবাই বাস্তবতা বুঝে। ৪-জি/ ৫-জির কথা বলেন এখন পর্যন্ত থ্রি-জি সেবাইতো পুরো দেশে নিশ্চিত করতে পারলেন না। গ্রামে গেলে কখনই থ্রি-জি সেবা পাই না কেন? সাবমেরিন কেবল সিমিইউ-৪ এর পর ৫ ও সংযুক্ত হয়েছে – কিন্তু প্রত্যাশা মিটেছে কি?

৫৬ হাজার বর্গমাইলকে শক্তিশালী ইন্টারনেট সেবা দিন। কৃষকের যেমন সার দরকার ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য ঠিক তেমনি ভালে মানের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য শক্তিশালী ইন্টারনেট দরকার। দেশের আগামীর অর্থনীতির সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ পার্ট ফ্রিল্যান্সারদের প্রতি তাই আরও বেশি আন্তরিক হওয়া জরুরী বলে জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সাররা। সেই সাথে শক্তিশালী  ইন্টারনেট সংযোগের কথাও জানিয়েছেন কেউ কেউ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফ্রিল্যান্সার বলেন, ৪ জি মানে ৪-জি-ই চাই । সারা বাংলাদেশেই চাই। ৫-জি লাগবে না। যাবতীয় ভিডিও কনফারেন্স, ভিডিও মিটিং এর জন্য ৪-জি মোর দ্যান এনাফ। কিন্তু সেটা প্রোপার ৪-জি হতে হবে। আনন্দের খবর বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফ্রিল্যান্সারের বাস বাংলাদেশে।

আপনার মন্তব্য