ছাত্রলীগের সম্মেলন ৬ ডিসেম্বরঃ নেতৃত্বে আসছেন কারা!

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০ তম সম্মেলের তারিখ পুনঃনির্ধারিত হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনটির ৩০ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে । রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ২১ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিন, ৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৮-৯ ডিসেম্বর ৩০ তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ পুনঃনির্ধারিত হলেও ঢাবি এবং মহানগরের তারিখ অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন সম্মেলনের খবরে শুরু হয়েছে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদে জায়গা পেতে ঢাবি ক্যাম্পাস, ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়, দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয় সরগরম হয়ে উঠছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়সহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা।

ছাত্রলীগের মূল গঠনতন্ত্রের বয়সমীসা ২৭। তবে ২৯তম জাতীয় সম্মেলন বিলম্ব হওয়ায় সংগঠনের সর্বোচ্চ গঠনতন্ত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২ বছর বর্ধিত করেন। এবারের সম্মেলনও ৪ বছর ৬ মাস পর হতে যাচ্ছে। তাই পদপ্রত্যাশীদের ধারনা এবারও বসয়সীমা পুনর্বিবেচনা করবেন সংগঠনের একমাত্র অভিভাবক।

বেড়েছে পদপ্রত্যাশীদের সংখ্যা:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পদপ্রত্যাশীদের কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় ধারনা করা হচ্ছে অন্যান্য বারের তুলনায় এবছর কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদপত্যাশীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বয়সের কারনে বাদ পরতে পারেন অনেকেই। তবে বয়স কত নির্ধারিত হতে পারে তা নির্ভর করছে সংগঠনটির একমাত্র অভিভাবক ও সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের উপর। তাই অনেক জৈষ্ঠ নেতারাও আছেন আলোচনায়।

আলোচনায় আছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস এবং সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

এছাড়া উত্তরাঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক- আবু হাসনাত হিমেল, প্রশিক্ষণ সম্পাদক- হায়দার মোহাম্মদ জিতু, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- আব্দুল্লাহ হীল বারী, উপ-দপ্তর সম্পাদক সজীব নাথ। চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক- সাদ বিন কাদের চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক – তাহসান আহমেদ রাসেল, সহ-সভাপতি- মাজহারুল ইসলাম শামীম, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক- তানবীর হাসান সৈকত, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক- আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন। বরিশাল অঞ্চল থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক- সোহানুর রহমান সোহান, সাংগঠনিক সম্পাদক- শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সহসভাপতি- সৈয়দ আরিফ হোসেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- ইমরান জমাদ্দার, উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক- সবুর খান কলিন্স, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সোলায়মান ইসলাম মুন্না। বৃহত্তর ফরিদপুর থেকে সহ-সভাপতি- রাকিব হোসেন, শেখ সাগর আহমেদ, সমাজসেবা সম্পাদক- শেখ স্বাধীন মোহাম্মদ শাহেদ, উপ-আইন সম্পাদক- শেখ সুজন, আইন সম্পাদক- ফুয়াদ হাসান শাহাদাত, উপ-আইন সম্পাদক- শাহেদ খান, খুলনা অঞ্চল থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক- বরিকুল ইসলাম বাঁধন, মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক- নাহিদ হাসান শাহিন, উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক- খন্দকার হাবিব আহসান। ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক – মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ, সহ-সভাপতি- সোহান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক- মেহেদী হাসান তাপস, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক- শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজার, সহ-সম্পাদক -মোঃ রিপন মিয়া। ঢাকা অঞ্চল থেকে উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক- এহসান উল্লাহ পিয়াল, গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক- শেখ শামীম তূর্য।

এছাড়া নারী নেত্রীদের মধ্যে শীর্ষ নেতৃত্বে আসারও গুঞ্জন আছে। নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন তিলোত্তমা শিকদার ও ফরিদা পারভীন। ঢাবির শীর্ষ নেতৃত্বে একজন নারী নেতৃত্ব আসতে পারেও বলে গুঞ্জন রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতৃত্বে গুঞ্জন রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক সোরাপ মিয়া সোহাগ, উপ-দপ্তর সম্পাদক- আব্দুর রহিম সরকার, উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক আমির হামজা, সহ-সম্পাদক এস এম রাকিব সিরাজী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাদ্দাম হোসেন উদয়, ঢাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সায়েম মোঃ সানাউল্লাহ, মুহসিন হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহীদুল হাসান শিশির, শহীদুল্লাহ্ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা, জিয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত, এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজীবুর রহমান সজীব, সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস, শামসুন্নাহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রুবাইয়াত নীলা, বঙ্গমাতা হল ছাত্রলীগের সভাপতি কোহিনুর রাখি আক্তার প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Created with Visual Composer