টাইব্রেকারে মার্টিনেজ বীরত্বে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

বুইন্স আইরেসে উৎসব কি শুরু হয়েছে? নাকি ভর করেছে আরও একবার কান্নায় ভেঙে পড়ার শঙ্কা? ভয়, আতঙ্ক আর বেদনা, করেনার পৃথিবীর নতুন বাস্তবতায় এসব এখন আর মানুষকে খুব উদ্বীগ্ন করে না। তবে আর্জেন্টিনা আর ফাইনাল। দুটো যখন এক হয়। তখন গল্পটা ভিন্ন। এ যেন অজানা এক শঙ্কা।

কোপা আমেরিকায় শেষ অবধি টাইব্রেকারে সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। উঠে গেছে ফাইনালে। যেখানে তাদের জন্য অপেক্ষায় ব্রাজিল। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আলবিসেলেস্তে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ নায়ক সেখানে। ঠেকিয়েছেন কলম্বিয়ার তিন শট।

এ যেন রোমাঞ্চকে ছাড়িয়ে যাওয়া রোমাঞ্চ। হাড়ে কাঁপুনি ধরানো কোনো থ্রিলার। শেষে গিয়ে নায়ক একজন। মার্টিনেজ, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। জাতীয় দলের হয়ে যার অভিষেকের অপেক্ষাটা বাড়ছিল অনেক দিন ধরেই। চলতি কোপার আগেই মিলেছিল সুযোগ। সেটাকে কি দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন অ্যাস্টন ভিলা গোলরক্ষক।

ফাইনাল হার নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলা হয়েছিল শুরুতে। সেটা থাকতেই পারে। আর্জেন্টিনা হেরেছে টানা তিন ফাইনাল। এরপর এমন ভয় কাজ করা অমূলক না। কিন্তু আপাতত বুইন্স আইরেসে হতেই পারে উৎসব। আরও একবার যে সামনে এসেছে তিন দশকের শিরোপা খরা ঘুঁচানোর সুযোগ। লিওনেল মেসির আকাশি-সাদা জার্সিতে আরও একবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সম্ভাবনা জেগেছে আরও একবার।

ম্যাচের শুরুটা হয়েছিল সেই মেসির হাত ধরেই। ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটে তিনি বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। মাঝে কাড়িকুড়ি করে বোকা বানিয়েছেন কলম্বিয়ার ডিফেন্ডারদের। অধিনায়কের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি মার্টিনেজ।

ওই গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ এসেছিল কলম্বিয়ার সামনেও। ৩৬ মিনিটে কর্ণার থেকে পাওয়া বলে প্রায় গোল পেয়েই গিয়েছিল তারা। কিন্তু কুয়ারদোর কর্ণারে পাওয়া বলে মিনার নেওয়া হেড লাগে ক্রসবারে।

বিরতির আগেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল আর্জেন্টিনার সামনেও। ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে মেসির নেওয়া কর্ণারে গঞ্জালেসের করা হেড ফিরিয়ে দেন কলম্বিয়া গোলরক্ষক ডেভিড অস্পিনা। শেষ পর্যন্ত এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরে আসে কলম্বিয়া। ৬১ মিনিটের সময় ফ্রি কিক পায় কলম্বিয়া। নিজেদের অর্ধে পাওয়া ওই ফ্রি কিক দ্রুত শট করেন কারডোনা। বক্সের ভেতরে বল পেয়ে দৌড় শুরু করেন দিয়াজ। দারুণভাবে আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে ফাঁকি দিয়ে গোলও করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Created with Visual Composer