দেশব্যাপী করোনা টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে আরো ৪৬ হাজার ৫০৯ জন টিকা নিয়েছে। দুই দিনে দিনে টিকা নিয়েছেন ৭৭ হাজার ৬৬৯ জন। তবে দ্বিতীয় দিনে ৯২ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন: জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন পাঁচ লাখ ১২ হাজার পাঁচজন মানুষ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আর গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরুর প্রথম দিনে সারাদেশে টিকা নিয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।

এর আগে স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি টিম এবং সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ১২ হাজার ৮২২ জন টিকা নিয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া ময়মনসিংহে ২৩৯৪, চট্টগ্রামে ১০ হাজার ৪৮০, রাজশাহীতে ৫৬৪২, রংপুরে ৫৫০৩, খুলনায় ৪১৭০, বরিশালে ১৫৪৪ এবং সিলেট বিভাগে ৩৯৫৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। গণ টিকাদানে ব্যবহৃত হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। টিকাদান কর্মসূচি সফলে ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মীর দল কাজ করছে।

ধারাবাহিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মোট ৭ হাজার ৩৪৪টি দল প্রস্তুত রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি দল দৈনিক ১৫০ জনকে টিকাদান করতে পারবে। সে হিসেবে দৈনিক তিন লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।

আপনার মন্তব্য