ঢাবির শতবর্ষ উদযাপেন যা যা থাকছে

১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ১ জুলাই শতবর্ষ পূর্ণ করবে। দিনটিকে কেন্দ্র করে সীমিত পরিসরে প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে শতবর্ষ পূর্তির মূল অনুষ্ঠানের অগ্রবর্তী অনুষ্ঠান ১ জুলাই আয়োজন করা হবে। করোনা সংক্রমণের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান হবে নভেম্বরে। 

শুক্রবার (১৮ জুন) শতবর্ষ উদযাপন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এতে বলা হয়, আগামী ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি হবে। এ উপলক্ষে আগামী ১ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে। রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শতবর্ষের মূল অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সীমিত পরিসরে প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে শতবর্ষ পূর্তির মূল অনুষ্ঠানের অগ্রবর্তী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এসব কর্মসূচি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠিত হবে।

শতবর্ষের কর্মসূচি

১। ক) বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

খ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে ডিন, প্রভোস্ট এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রক্টর উপস্থিত থাকবেন।

গ) অনুষ্ঠানটি লাইভ স্ট্রিমিং এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইপি টেলিভিশনে সম্প্রচার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট, ফেসবুক লাইভে সম্প্রচার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন পরিচালক, আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) সেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ঘ) জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এস্টেট ম্যানেজার, ঢাবি।

ঙ) জাতীয় সংগীত বাজানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

চ) বেলুন ও ফেস্টুনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

২। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বা Theme স্মরণিকা কমিটি উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করবেন। স্মরণিকা প্রকাশের লক্ষ্যে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

৩। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের দিন বিকেল ৪টায় প্রশাসনিক ভবনে প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনলাইন ভার্চুয়াল মিটিং প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় ভাষাসৈনিক, কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী আবদুল গাফফার চৌধুরী সংযুক্ত হয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এছাড়া আলোচনা অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রাক্তন উপাচার্য, ডিন, প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট এবং সমিতিসমূহের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকরা অনলাইনে সংযুক্ত থাকবেন। অনুষ্ঠানটি ফেসবুক লাইভে প্রচারিত হবে।

৪। প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, পরিচালক, আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) সেল, পরিচালক, পাবলিক রিলেশন্স উপস্থিত থাকবেন। আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করার জন্য রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমন্বয় সাধনের জন্য পরিচালক, আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) সেল-কে অনুরোধ করা হয়।

৫। চারুকলা অনুষদের ডিনের সহায়তা নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য একটি ব্যাকড্রপ ব্যানার এবং অনলাইন আলোচনা সভার বিষয়ে প্রচারণার জন্য একটি ডিজিটাল ব্যানার প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন প্রধান প্রকৌশলী। প্রস্তুত করা ডিজিটাল ব্যানার ২/৩ দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন পরিচালক, আইসিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Created with Visual Composer