ঢাবির হল খুলে দেয়ার দাবি বাম শিক্ষার্থীদের

আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ‘শিক্ষার্থীবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’-এর ব্যানারে আয়োজিত এই বিক্ষোভে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাসদ-সমর্থিত সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমর্থিত সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন৷

বাসদ-সমর্থিত ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির সদস্য সোহাইল আহমেদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে আগামী ১৩ মার্চ থেকে আবাসিক হলগুলো সীমিত পরিসরে খোলা হবে। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর একটি বক্তব্য আসার পরই একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বদলে গেল। এ থেকে বোঝা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের রূপ কতটা ধসে গেছে।’

কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘আমাদের বলা হচ্ছে যে করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্যাম্পাস খোলা যাবে না৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, করোনাকালে যদি অফিস-আদালত, সরকারের প্রচলিত দুর্নীতি, সরকারি দলের অন্তঃকোন্দল ও মারামারি এবং মেট্রোরেলের কাজ চলতে পারে, তাহলে ক্যাম্পাস কেন খুলবে না? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা করোনাকালে নিরাপদ পরিবেশে বাস করছেন—এটি মনে করার জন্য কী পরিমাণ জনবিচ্ছিন্ন হতে হয়! করোনাকালে শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশাসনের কোনো মাথাব্যথা নেই। একদিকে তারা বলছে যে পরীক্ষা হবে না, অন্যদিকে কিছু বিভাগে পরীক্ষা চলছে।’

বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমর্থিত ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণের সঞ্চালনায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য আমজাদ হোসেন ও কর্মী আরাফাত সা’দ, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য আনিকা আনজুম প্রমুখ বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ ও সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমর্থিত ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Created with Visual Composer