সুদিন ফেরাতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের দলে ভেরাচ্ছে বাফুফে

২০১৩ সালে ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়ার বাংলাদেশ দলে অভিষেক হওয়ার ৮ বছর পর ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী খেলেছেন লাল-সবুজ জার্সিতে। কাতারে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ তিন ম্যাচে আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের বিপক্ষে খেলেছেন তারিক কাজী।

জাতীয় দলের শক্তি বাড়াতে আরও কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলারের দিকে নজর ইংলিশ কোচ জেমি ডে’র। এর মধ্যে বসুন্ধরা কিংসের দুই খেলোয়াড়-কাতার প্রবাসী ওবায়দুর রহমান নবাব ও ইংল্যান্ড প্রবাসী মাহদি ইউসুফ খানকে নজরের মধ্যেই রেখেছেন জেমি ডে।

জেমি ডে এই দুই প্রবাসী ফুটবলারকে জাতীয় দলে ডাকবেন-এমন ঘোষণা দেননি। তবে তিনি যে দুইজনের পারফরম্যান্স আতশি কাঁচের নিচে রেখেছেন সেটা বলছেন সবসময়।

ডাকলেই যাতে তাদের খেলানো যায়, সে কারণে বাফুফে কিছু কাজ গুছিয়ে রাখছে। এই যেমন ওবায়দুর রহমান নবাবের ফিফা থেকে অনুমতি নিয়ে রেখেছে বাফুফে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার পর ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, ওবায়দুর রহমান খেলতে পারবেন বাংলাদেশের হয়ে।

ইংল্যান্ড প্রবাসী মাহদি ইউসুফ খানকে জাতীয় দলে ডাকলে যাতে খেলতে পারেন, সেজন্য ইতিমধ্যে বাফুফে আবেদন করেছে ফিফার কাছে। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া নাইজেরিয়ান ফুটবলার এলিটা কিংসলের জন্য ফিফার অনুমোদন আনতে আগামী সপ্তাহেই প্রক্রিয়া শুরু করবে বাফুফে।

তারিক কাজীর ঘটনার পর বাফুফে সব প্রক্রিয়াই আগেভাগে শুরু করতে যাচ্ছে। কারণ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হওয়া ফিনল্যান্ড প্রবাসী এই রাইটব্যাকের মাঠে নামাই অনিশ্চিত ছিল কাতারে।

‘তারিক কাজী ফিনল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিনটি ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন। উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপের ওই তিন ম্যাচের একটিতেও সে খেলেনি। তারপরও স্কোয়াডে থাকায় ফিনল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনের ছাড়পত্র পেতে আমাদের সময় লেগেছে। দেশটির ফুটবল ফেডারেশনে এক্ষেত্রে একটু ঝামেলাও করেছে। উয়েফার মাধ্যমে আমরা ফিনল্যান্ড থেকে ছাড়পত্র এনেছি। এসব করতে গিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে খেলাই অনিশ্চিত হয়েছিল তারিকের। ম্যাচের ঠিক একদিন আগে আমরা তারিকের খেলার বিষয়ে ফিফার অনুমতি পেয়েছি’-বলছিলেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ

উল্লেখ্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের আরও অনেক আগে থেকেই খেলানোর চিন্তা ভাবনা থাকলেও বাফুফে সেই পখে হাঁটেনি। ২০১৩ সালে জামাল ভূইয়াকে দিয়ে শুরু। এক জামাল ভূইয়াতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও সেটা এশিয়া লেভেলে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট ছিলো না। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ শেষবারের মত সাফের শিরোপা জেতে। এরপর থেকেই বাংলাদেশের ফুটবললে শুরু হয় পশ্চাৎপদ যাত্রা। একসময় বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতে না পারা নেপাল, আফগানিস্তান, মালদ্বীপও বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে যায়। অবশেষে বোধদয় হয় বাফুফের। বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীদের বিশ্বাস প্রবাসী ভালো মানের ফুটবলারদের কল্যাণে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ফুটবল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Created with Visual Composer