বাংলাদেশের পেস বোলিংকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড
বাংলাদেশের পেস বোলিংকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাচ্ছেন প্রোটিয়াস কিংবদন্তী ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ড। এ যেনে ২০১৪ সালের ফিরে আসা। ঠিক যেমনভাবে ফিরে এসেছেন চন্ডিকা হাতুরেসিংহে। ২০১৪ সালের কথা বলা এ কারণেই সে সময় হাতুরাসিংহের সাথে দারুন কাজ করেছিলেন সে সময়কার বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক। হিথ স্ট্রিকের আমলেই তাসকিন, মোস্তাফিজ, আল-আমিনদের উত্থান হয়েছিলো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ফাস্ট বোলারদের সেই গর্জন থেমে যায়। থেমে যায় মূলত বিগম্যান কোর্টনি ওয়ালশের ৪ বছরের সময়কালে। সেই কোর্টনি ওয়ালশের বিদায়েরর পর অ্যালান ডোনাল্ডকে দায়িত্ব দেবার পর থেকেই বাংলাদেশের পেস অ্যাটাক শক্তিশালী হতে থাকে। ডোনাল্ডের ছোঁয়াতে সেই পেস অ্যাটাক এখন এতটাই সমৃদ্ধ যে চোখ বন্ধ করলেই অন্তত ৭ জন ফ্রন্টলাইন ফাস্ট বোলার দেখতে পাবেন।
১. তাসকিন আহমেদ
২. মোস্তাফিজুর রহমান
৩. হাসান মাহমুদ
৪. এবাদত হোসাইন
৫. শরিফুল ইসলাম
৬. রেজাউর রহমান
৭. মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী
বাংলাদেশের ফ্রন্টলাইন পেসারদের তালিকা। এর বাইরে আরও ৫ জন আছেন। বাংলাদেশের মত একটা দলের পেস একটা এতটা সমৃদ্ধ হলো কিভাবে? ভেবে দেখেছেন? উত্তরঃ পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। হিথ স্ট্রিকের মাধ্যমে পেসারদের উত্থানের শুরু। এরপর মাঝে কোর্টনি ওয়ালশ এসে টাইগার পেসারদের নখদন্তহীন বাঘে পরিণত করেছিলো। অতঃপর ডোনাল্ড এসে বাংলাদেশের পেসারদের নেক্সট লেভেল নিয়ে গেছেন। ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সে বিশ্বকাপের আগে দুশ্চিন্তার নাম ছিলো ম্রিয়মান মোস্তাফিজ। সেই মোস্তাফিজও আস্তে আস্তে ছন্দে ফিরতে শুরু করছেন যার কৃতিত্ব ডোনাল্ডের। সাদা বলে অরডিনারি তাসকিনের সেরাদের সেরা হওয়ার পেছনেও ঔ একজনেরই অবদান। সবকিছু ঠিক থাকলে পেস এবং স্পিনের সমন্বয়ে দারুণ একটা বোলিং অ্যাটাক হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। যে ইউনিট বিশ্বের যেকোন কন্ডিশনেই রাজত্ব করতে প্রস্তুত। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয় এবং দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয় সে কথাই বলবে।