বেকারত্ব ঘোচাতে যে মোটিভেশনাল স্পিচ আমাকে সাহায্য করেছিলো

বেকারত্বকে বিবেচনা করা হয় অভিশাপ হিসেবেই। বেকার মানুষেরা তাই এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে প্রচুর পরিমানে মোটিভেশনাল স্পিচ শুনে থাকেন। আমিও শুনেছি। বিডিনিউজ ট্র্যাকারের পাঠকরা জানতে চেয়েছেন বেকারত্ব ঘোচাতে করণীয় কি। আমি আয়েশা আক্তার কেবল আমার অভিজ্ঞতাই শেয়ার করছি-

বেকার অবস্থায় কয়েকটা মোটিভেশনাল থট খুব কাজ করেছিল তা হলো যে বয়স তিরিশ হওয়ার আগেই স্বাবলম্বী হলে আগামী তিরিশ বছর স্বস্তিতে চলা যাবে৷তারপরেই যেটা ভীষণভাবে কাজ করেছিল তা হলো কারোর উপ্রে নির্ভরতার হীনম্মন্যতার অমানুষিক চাপটা থাকবেনা৷

কিন্তু প্রথম স্পিচের চেয়ে দ্বিতীয় স্পিচটার রিয়্যালিটিটা শতভাগ সত্য হলেও প্রথম স্পিচটার সত্যতা শতভাগ নেই৷কেননা রোগশোক ফ্যামিলি ক্রাইসিস সবকিছু মিলে তিরিশ বছরব্যাপী প্রপার রিলিফের নিশ্চয়তা শুধু একটা চাকরিকে কেন্দ্র করেই আসেনা৷পরিপূর্ণ মেন্টাল পিস সে অন্য জিনিস৷যা দ্বিতীয় স্পিচে কিছুটা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে৷এই জন্য যে আমার পেছনে টাকা খরচের চাপ আর কাউকে নিতে হচ্ছেনা ভেবে৷বেকার থাকাকালীন আমি কোনো মোটিভেশনাল স্পিকারদের চিনতামনা৷স্মার্টফোন ফেবু আইডি না ব্যবহার করার জন্যই চিনতামনা৷

কিন্তু পত্রিকার সাপ্লিমেন্ট(স্বপ্ন নিয়ে,আনন্দ,নকশা ইত্যাদি)থেকে নিজে নিজে মোটিভেশন খুঁজে নিতাম৷পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মোটিভেশন নিজের মধ্যেই থাকে৷নিজেই নিজের মোটিভেশন হলে জগতের অন্যকোনো মোটিভেশনাল স্পিকার লাগেনা৷গান্ধীজি যখন উপস্থিত মহলে বলেন,”আমি আছি”(আমার পথ,কাজী নজরুল ইসলাম)তখন তা নিজেই নিজের আছিকে মিন করে৷তবে স্মার্ট ফোন নেওয়ার পরে প্রচুর মোটিভেশনাল স্পিচ শুনি৷নানা স্পিকারদের কাছ থেকে৷ওই ভাল ভাল কথাগুলা তন্ময় হয়ে শুনি৷ভাল লাগে৷

বেকার সময়ে নিজের ভেতরে জন্ম নেওয়া বোধগুলার অনেক সাদৃশ্য পেয়ে আরো ভাল লাগে৷ নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্বাবলম্বী হও৷টক্সিক রিলেশন,টক্সিক সমাজ থেকে কিছুটা নিজের মতো করে বাঁচতে স্বাবলম্বী হওয়া জরুরী৷পরিসংখ্যান কিংবা সমাজ যতই বলুক,”শিক্ষিত চাকরিজীবী নারীদের ডিভোর্স হচ্ছে বেশি” তবুও মুক্ত আকাশের নিচে বুক ভরে শ্বাস নিতে শেষ চেষ্টাটুকু পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Created with Visual Composer