ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণেই মাহমুদউল্লাহকে দলে রাখছেন না হাথুরুসিংহে
ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণেই মাহমুদউল্লাহকে দলে রাখছেন না হাতুরুসিংহে। ওয়ানডেতে ফরম্যাটে মাহমুদউল্লাহকে দল থেকে বাদ দেবার কোন কারণই নাই। কারণ বাংলাদেশের হয়ে ২০২২ সালে তার চেয়ে বেশি রান করেছেন কেবল লিটন দাস। তারপরও রিয়াদ কেন বাদ সে প্রশ্ন সবার।
প্রথমত, কোচ হাথুুরু সিংহে অনেক আগে থেকেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে পছন্দ করেন না। যে কারণে মাহমুদউল্লাহকে দেশের হয়ে শততম টেস্ট খেলতে দেননি হাথুরু।
দ্বিতীয়ত, ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফির কথা মনে আছে? শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর উপলক্ষে সেই ৩ জাতির টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার ঘরের মাঠে লঙ্কানদের কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। লঙ্কানরা ফাইনালেও উঠেতে পারেনি। সেই ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কান দলের হেড কোচের চাকরিও হারিয়েছিলেন হাথুরুসিংহে। এরপর থেকেই মাহমুদউল্লাহর সাথে ব্যক্তিগত আক্রেশ চরমে।
অবশ্যই হাথুুরুসিংসে বিশ্বমানের টপক্লাস কোচ। কিন্তু একজন মানুষের সবগুলো দিক ভালো হবে না। বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে মাহমুদউল্লাহর প্রয়োজন এখনও অনেক। বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে তো কথাই নাই।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগে শেষ ৪ ম্যাচের ৩ টিতে ফিফটি করেছেন। লিগের শেষ ম্যাচে ৪০ বলে ৭০ রানের টর্নেডো ইনিংসে দলকেও জিতিয়েছেন। সেটা দেখেই কিনা বোর্ড সভাপতি পূর্বাভাস দিলেন বিশ্বকাপ দলে থাকবেন রিয়াদ। বাস্তবতা হচ্ছে রিয়াদ থাকবে কি থাকবে না সেটার জন্য ২ টা স্টেপ আপাতত সামনে।
প্রথম স্টেপঃ তাকে ১৫ সদস্যের দলে রাখতে হবে। সেখানে কে থাকবে না থাকবে সেটার এখতিয়ার নির্বাচকদের। কোচের কাচ ১৫ জন থেকে ১১ জন বেছে নেয়া। প্রথম কাজ অবশ্যই নির্বাচকদের হাতে। সে্ি নির্বাচকরাও বলেছিলেন রিয়াদকে বাদ দেয়া হয়নি বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় স্টেপঃ মাহমুদউল্লাহকে যদি বিশ্বকাপের জন্যেই বিবেচনা করেন তাহলে তার আগে তাকে সামনের ২/৩ টা সিরিজেও সুযোগ দিতে হবে। সে হিসেবে আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজেই দলে ফেরার কথা তার। যদি না ফেরেন বুঝতে হবে শুধুমাত্র হাথুরুসিংহের ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণেই তাকে দলে ফেরানো হয়নি। তবে সাইলেন্ট কিলার সাইলেন্টেই দলে ফেরার জন্য যা যা করনীয় করে রেখেছেন। এখান থেকে আসলে রিয়াদকে এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ দলে উপেক্ষিত রাখার কোন সুযোগ নাই। তার জায়গায় যাকে নিয়ে গত ৩/৪ সিরিজ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হলো সেই ইয়াসির আলী রাব্বি ডাহা ফেইল করেছেন। ফলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলে ফেরার রাস্তা ক্লিয়ার। এরপরও যদি না ফেরেন তাহলে বুঝতে হবে হাথুরু সিংহের ব্যক্তিগত আক্রোশ। কেবলই ব্যক্তিগত আক্রোশ!