মধ্যে ভদ্রঘাঁট সঃপ্রাঃবিদ্যাঃ ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে মতবিরোধ ও ল্যাপটপ,প্রজেক্টর,ঘন্টা চুরি

0
71

সবুজ এইচ সরকার: সিরাজগঞ্জে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, ঘন্টা ও অন্যান্য সরাঞ্জাম চুরি হয়েছে। গত রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) রাতে কামারখন্দ উপজেলার ৪ নং মধ্যে ভদ্রঘাঁট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের দরজার হেজবোল্ট ভেঙে ১ টি ল্যাপটপ (ডেল), প্রজেক্টর (হিটাসি), ১ টি কাসার ঘন্টা ও অন্যান্য সরাঞ্জাম চুরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক কামারখন্দ থানায় চুরি বিষয়ে অজ্ঞাত নামায় মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া ল্যাপটপ,প্রজেক্টের, ঘন্টার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। গত সোমবার ৪ মার্চ এই প্রতিষ্ঠানের দপ্তর মো: কামরুল ইসলাম কে সন্দেহজনক ভাবে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ আটক করেন ও সিরাজগঞ্জ কোর্টে চালান করা হয়। এছাড়াও জানাগেছে, অত্র প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে সভাপতি প্রার্থী মোট ৪ জন হওয়ায় কমিটি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। যেদিন চুরির ঘটনাটি ঘটে তার আগের দিন ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সভা করা হয়েছে। স্থানীয়দের ভাস্য অনুযায়ী, ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে মতবিরোধ থাকার কারনে পরিকল্পিত ভাবে এ চুরি ঘটনাটি ঘটানো হয়। চুরির ঘটনা ঢাকার জন্য একটি পুরাতন অকোজো ল্যাপটপ কামরুল ইসলামের থেকে নেন প্রধান শিক্ষিকা। এরপর প্রজেক্টর টি চাইলে কামরুলের পক্ষে অসাধ্য হওয়ায় ঘটনার প্রায় ১৫ দিন পর নিজের আত্মরক্ষার্থে থানায় জিডি করেন প্রধান শিক্ষিকা। এর আগে তিনি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়।সহকারী সিনিয়র শিক্ষিকা মোছা: সুরাইয়া খাতুন বলেন, চুরির ঘটনার আগের দিন ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে একটা সভা করে। মিটিং এ মতবিরোধ হয়। এবং এর পরের দিন স্কুলে চুরির ঘটনা ঘটে।যে রাতে চুরি ঘটনা ঘটে অভিযুক্ত আসামি কামরুল ইসলাম সেই রাতে ডায়বেটিস নীল থাকায় ডাক্তার নরেশ্ব চন্দ্র কাছেই চিকিৎসাধীন ছিল। আমার স্বামীর ডিউটি ছিল না। আলমারির চাবি প্রধান শিক্ষিকার কাছেই ছিল। প্রধান শিক্ষিকা চক্রান্ত করে চুরির ঘটনা সাজিয়ে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দায়ের করে।অভিযুক্ত কামরুল ইসলামের স্ত্রী পলি খাতুন জানান,ঐরাতে আমার স্বামীর ডিউটি ছিল না। প্রধান শিক্ষিকা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামী কে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ  তাকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করে মামলা সাজিয়ে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।৪ নং মধ্যে ভদ্রঘাঁট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার বলেন, আমি উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। এবং প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেন।কামারখন্দ থানার এসআই রহমন কুমার জানান, মামলার তদন্ত চলমান আছে। তবে প্রতিষ্ঠানের কর্মরত দপ্তর কামরুল ইসলাম কে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে আটক করি।