মৃত্যুর আগে যে কথাগুলো সবাইকে বলে যান আবির

মৃত্যুর আগে যে কথাগুলো সবাইকে বলে যান আবির । ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবির গতকাল আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার জন্য তিনি পরোক্ষভাবে তার প্রত্যাশিত সাবজেক্ট নিয়ে হাতাশার ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন।  ফার্মেসি পড়তে ভালো লাগতো না তার। এ নিয়ে খুবই হতাশায় ভুগছিলেন। বাড়ি থেকে মা-বোনসহ সবাই ফোন দিয়েছে। কারোর ফোনও তিনি ধরেননি। আত্মহত্যার মতো কঠিন পথ বেছে নেওয়ার আগে এ কথা সহপাঠী এবং পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবিদ আজাদ (১৯)।

গলায় ফাঁস দিয়ে সোমাবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আত্মহত্যা করেন আবিদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে পার্শ্ববর্তী ব্রাদ্রার্স হাউস মেসে আত্মহত্যা করেন তিনি। বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ এসে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

আবিদের রুমমেট সাব্বির হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাস থেকে আমি দুপর আড়াইটার দিকে মেসে এসে দরজায় ধাক্কালেও দেখি দরজা খোলে না। পরে ৩টার দিকে রুমের জানালা দিয়ে বাইরে থেকে আবিদকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেস মালিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানান মেসের অন্য সদস্যরা। প্রক্টরিয়ার বডির উপস্থিতিতে দরজা কেটে লাশ উদ্ধার করে ইবি থানা পুলিশ।

আবিদের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার আরাজি ভাটপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম জহুরুল হক। পরিবার ও আবিদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, হতাশা থেকে হয়তো আত্মহত্যা করতে পারেন আবিদ। একই ছাত্রাবাসের বাসিন্দা স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র নিয়াজ মাখদুম বলেন, আবিদ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। মার্চ মাস থেকে ক্লাস শুরু হয়। এরপর থেকেই ছাত্রাবাসে ওঠেন। এক সপ্তাহ আগে তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। তার ফার্মেসি পড়তে ভালো লাগছে না। এ নিয়ে খুবই হতাশায় ভুগছিলেন।

আবিদের বড় ভাই শাহাবুর রহমান রাজধানীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, আবিদ খুব চাপা স্বভাবের ছিল। লোকজনের সঙ্গে কম মেলামেশা করত। সোমবার শেষ কথা হয় তার সঙ্গে। বলেছিল, বাড়িতে চলে যাবে, কিছুই ভালো লাগছে না। বাড়ি থেকে মা-বোন ফোন দিয়েছে। তাদের ফোনও ধরেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Created with Visual Composer