যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় চীনের আরও ১২ প্রতিষ্ঠান

চীনভিত্তিক আটটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে চীনের সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য। সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহারযোগ্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জামের নকশা চুরি বা চুরির চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে।

জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির দোহাই দিয়ে বাণিজ্য খাতে চীনের আরও ১২টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কয়েকটি চীনের সেনাবাহিনীকে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রোগ্রাম আধুনিকায়নে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সম্প্রতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল আরও গভীর হতে থাকার মধ্যেই এ পদক্ষেপ নিল ওয়াশিংটন। অথচ চলতি মাসের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং দ্বিপক্ষীয় ভার্চুয়াল সম্মেলনে বাণিজ্য ইস্যুতে আলোচনা করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীন, জাপান, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুরের মোট ২৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় চীন ও পাকিস্তান থেকে। ‘পাকিস্তানের অনিরাপদ পরমাণু কর্মসূচি ও ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচিতে’ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।

চীনভিত্তিক আটটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে চীনের সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য। সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহারযোগ্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জামের নকশা চুরি বা চুরির চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে।

একইভাবে রাশিয়ার মস্কো ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজির ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে শুধু সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনের কথা।

তালিকাভুক্তির ফলে চীন ও রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতি, আর পাকিস্তানের পরমাণু ও ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচি পরিচালনায় সহযোগিতা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনো রকম আর্থিক লেনদেনে জড়াতে বা তাদের সমর্থন দিতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামল থেকে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এ ধরনের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করছে ওয়াশিংটন। ২০১৯ সালে এ তালিকায় যুক্ত হয় চীনের টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ে।

কালো তালিকায় থাকা এসব প্রতিষ্ঠানে কাঁচামাল সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগের মতো আর পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। কালো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে কিছু বিক্রি করতে হলে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অনুমতি নিতে হবে, যা প্রত্যাখ্যান হওয়ার শঙ্কাই বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Created with Visual Composer