রুচির দুর্ভিক্ষেই আমরা হিরো আলমকে পেয়েছি

0
74

সত্যিই রুচির দুর্ভিক্ষে আমরা হিরো আলম কে পেয়েছি। কথাটি ১০০ ভাগ সত্য। সমস্যাটি হিরো আলমের নয়, সমস্যা ও দুর্দশা দুটোই আমাদের।

গত কিছুদিন আগে হিরো আলম উনার সোশাল মিডিয়ায় একটি নাত আপলোড করেছে, সাথে সাথে বাঙ্গালি সমাজ উনাকে পরম যত্নে প্রশংসা করছে। অথচ সেই ভিডিওতে স্পষ্টত বুঝা গিয়েছে, উনার নাত পরিবেশনের বেসিক যোগ্যতাটুকুও নেই। এই যে যোগ্যতার বাইরে এসে চর্চার অবান্তর প্রশংসা, এটি সমাজের জন্য ক্ষতিকারক। এই প্রেষণার ভিত্তিতে কয়েকদিন পর হতে পারে উনি নসিহত করতে শুরু করবেন, তখন আমরা উনাকে মাহফিলের প্রধান আলোচক হিসেবে দাওয়াত করতে এক বিন্দু ভাববো না। আমাদের যুক্তি হবে এমন, “উনি ত ভালো কথাই বলছেন।” আমাদের পক্ষে এমন কাজটি করার জোর সম্ভাবনা রয়েছে, কারন নিকট অতীতে চুরি করতে আসা সিদ্দিককে এভাবেই মঞ্চে এনে বসিয়েছি।

সমাজ নষ্ট হয় ঠিক এভাবে। আপনি জ্ঞান নেবেন জ্ঞানী মানুষের নিকট থেকে। কথা ভালো বললেই যে কারো থেকে জ্ঞান নেওয়া যায় না, এই কথাটি বেশিরভাগ মানুষ বুঝে না। জ্ঞান হচ্ছে পরিষ্কার পানির মতো। আপনি জানেন যে, পানি গ্রহন করবেন পরিষ্কার, কিন্তু আপনি যে পাত্র থেকে পানি খাচ্ছেন, সেটি পরিষ্কার কি না যাছাই করছেন না। সিদ্দিকের প্রয়োজন অর্থের, উনার প্রয়োজন স্বাবলম্বী হওয়া। সেটি না করে আমরা এমন মঞ্চে যায়গা দিচ্ছি, যেটি উনার এই মুহুর্তে প্রয়োজন ছিলো না। এতে মঞ্চ এবং মঞ্চের চেয়ার, দুটোর অধঃপতন ঘটলো। সমাজের কাঠামোগত অলংকারিক আসনগুলো প্রশ্নের সামনে এসে পড়লো।

অযোগ্য ব্যক্তি যোগ্যতার চেয়ারে বসে সমাজের মানুষকে কথা বলবে, আর বাকিরা শুনবে এটা কেয়ামতের আলামত। সমাজের যখন অতিরিক্ত পরিমাণ দুর্নীতি হয়, তখন সমাজ ও সমাজব্যবস্থা এভাবে ধ্বংস হয়। আমাদের প্রজন্ম, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ভাইরাল কেন্দ্রিক আইডিওলজি প্রতিষ্ঠা করে রেখে যাচ্ছে না ত?