সময় বড়ই নিষ্ঠুর, বড়ই নির্দয়

পৃথিবীতে মানুষ সম্ভবত সময়ের কাছেই সবচেয়ে অসহায়। পৃথিবীতে যত মহানায়ক এসেছেন সবাই কিন্তু এই সময়ের কাছেই থেমেছেন, হার মেনেছেন, মেনে নিয়েছেন। তামিম ইকবালের ক্ষেত্রেও সেটাই হলো। ১৭ বছর আগের তামিম আর ১৭ বছরের পরের তামিমে অনেক পার্থক্য। যতটুকু ক্রিকেট বুঝি সময়টা যদি ৩ বছর আগেও হতো তামিম ইকবাল জবাবটা ব্যাট দিয়েই দিতেন। লিজেন্ডসরা সবসময় ব্যাট দিয়েই জবাব দেন। কিন্তু গত ১ বছর ধরে ইনজুরি যেভাবে ভোগাচ্ছিলো তামিমকে তাতে বিশ্বকাপের আগে একটা অস্ত্রপাচার দরকার হতো। সেটা হলে বিশ্বকাপই মিস হতো। সময়টা এতটাই নির্দয় ছিলো ৮০ ভাগ ফিট থেকেও তামিম খেলতে চেয়েছেন। একজন মানুষ তো আর এমনি এমনি প্রকাশ্যে অসহায়ের মত বলেন না আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। দিনশেষে তামিমকে বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে। স্বাস্থ্য, শরীর, ফিটনেস আর সময়ের কাছে আমরা অসহায়। যেই তামিম জহির খানের মত সুইং বোলারকে পাড়ার বোলারের কাতারে নামিয়ে এনেছিলেন সেই তামিমই ৪ ম্যাচে ৪ বার ফজল হক ফারুকীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সময় বড়ই নির্দয়। বয়সটা মাত্র ৩৪ হলেও তামিমের রিফ্লেক্স কমে গেছে। অন্যরা হয়তো ৩৭ বছরেও ফিট থাকেন তামিম থাকেন নি, সম্ভব হয়নি। এই নিদারুণ বাস্তবতা মানতেই হবে। কোন কোচই চাননা তার বহরের সেরা অস্ত্রকে বাদ দিয়ে তুলনামূলক কম শক্তির অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামতে। ইনজুরি, ক্যাপ্টেইন্সি, গ্রুপিং, হেটার্সদের সমালোচনা সবকিছু এক সাথে ধেয়ে আসছিলো তামিমের দিকে। তামিম নিতে পারেন নাই। কারণটা ইমোশনাল। জবাবট্ ব্যাটে দেবার মতন শেপেও ছিলেন না। একসাথে সবাই বিরুদ্ধে চলে গেলে সেখানে আর লড়াই করার কিছু থাকে না। তারপরও তামিম ইকবাল থাকবেন এদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের হৃদয়ে। থাকবেন পোর্ট অব স্পেনে জহির খানকে ড্যান্সিং ডাউন দা উইকেটে মারা ছক্কায়। থাকবেন লর্ডসের বলে কয়ে করা সেঞ্চুরিতে। থাকবেন এশিয়া কাপে এক হাতে ব্যাট করায়!

#TamimIqbal #BCB #tamimretires

Created with Visual Composer