সাকিবের কাছে পরাজয় মানতে না পেরে সেরা ক্রীড়াবিদ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন সালাউদ্দীন
স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের সেরা ক্রীড়াবিদ কে? বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি তাদের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের সেরা ক্রীড়াবিদ বাছাই করেছে। তাদের বাছাইয়ে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের সেরা ক্রীড়াবিদ হয়েছেন। সাকিবের পরের স্থান ফুটবল কিংবদন্তি কাজী সালাউদ্দিনের।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন গতকাল দ্বিতীয় হওয়ার পরপরই অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন। সেরা দশ ক্রীড়াবিদকে নিয়ে এক মঞ্চে তোলা ছবির সময়ও তিনি ছিলেন না। আজ বাফুফের নির্বাহী কমিটির সাধারণ সভা ছিল। সেই সভায় কাজী সালাউদ্দিনের ব্যক্তিগত পুরস্কারের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি সালাউদ্দিনের ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রত্যাখানের বিষয়টিও বাফুফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে। বাফুফের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সালাউদ্দিনকে দ্বিতীয় সেরা করায় এটিকে প্রহসনের পুরস্কার এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে অবমাননার শামিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বছরের শেষ দিন বাফুফের কার্যনিবাহী কমিটির সভা। এই বছরের ফুটবলের পর্যালোচনা ও আগামীর পরিকল্পনা কেমন হবে এমনটা জানতে শীতের বিকেলে সাংবাদিকদের ভিড় ছিল ফেডারেশনে। বাফুফের মিডিয়া উইং থেকেও কয়েকবার দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল এই মিটিং কাভারের জন্য।
নির্ধারিত সময় সভা শুরু হয়। আড়াই ঘন্টা সভা চলার পর বাফুফের মিডিয়া অফিসার খালিদ মাহমুদ নওমীর ঘোষণা, ‘আজ কোনো মিডিয়া ব্রিফিং হবে না।’ বাফুফেতে ছোট-খাটো সাব কমিটির সভার পরেও মিডিয়া ব্রিফিং হয় সেখানে নির্বাহী সভায় ব্রিফিং নেই। এর পেছনেও কারণ সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় হওয়া। ব্যক্তিগত পুরস্কারের বিষয়টি ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করায় সাংবাদিক ও ক্রীড়া মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।