একজন মানুষ নানা কারণে স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। স্ট্রোকের ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আক্রান্ত ব্যক্তি। স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকা যে কেউ যখন তখন স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তিটিকে দ্রুত হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে তাৎক্ষণিভাবে নেওয়া সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে আমরা আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারি।
চীনের বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন।
১। স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। প্রথম কাজ হবে ওই ব্যক্তির বিশ্রামের ব্যবস্থা করা।
২। রোগীকে সরানো যাবে না, নড়াচড়া করা যাবে না। কারণ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বিস্ফোরিত হতে পারে।
৩। পিচকারি সুই অথবা সেলাই সুই কয়েক সেকেন্ড আগুনের শিখার উপরে রেখে গরম করে নিয়ে সুচটি জীবানুমুক্ত করতে হবে। সুচ দিয়ে রোগীর হাতের ১০টি আঙুলের ডগার নরম অংশে ছোট ক্ষত করতে হবে। এমনভাবে করুন যাতে প্রতিটি আঙুল থেকে রক্তপাত হয়। এ কাজটি করার জন্য কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। শুধু খেয়াল রাখুন আঙুল থেকে যেন যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত ঝরে। এরপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন, দেখবেন রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।
৪। যদি আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ বিকৃত হয় তাহলে তার কানে ম্যাসেজ করতে হবে। এমনভাবে ম্যাসেজ করতে হবে যাতে রোগীর কান লাল হয়ে যায়। লাল হলে বুঝতে হবে কানে রক্ত পৌঁছেছে।
৫। এরপর দুই কান থেকে দুই ফোঁটা রক্ত পড়ার জন্য কানের নরম অংশে সুচ ফুঁটাতে হবে। কয়েক মিনিট পর দেখবেন মুখ আর বিকৃত হবে না।
এরপর রোগী মোটামুটি স্বাভাবিক হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসার এই পদ্ধতিকে বলা হয় রক্তক্ষয় পদ্ধতি। চীনে চিকিৎসার অংশ হিসেবে প্রথাগতভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে আসছে। এই পদ্ধতির ব্যবহারিক প্রয়োগ শতভাগ কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।