হল খোলার দাবিতে ৬ জুন বিক্ষোভ করবে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

হল না খোলার শর্তকে প্রত্যাখ্যান করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নির্ধারিত তারিখে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ।বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে ‘হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দাও’ আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানিয়েছেন তারা। হল খোলার দাবিতে আগামী ৬ জুন রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা হল না খোলার শর্তে সশরীরে পরীক্ষার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছি এবং আমাদের দাবি ধাপে ধাপে পরীক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দিতে হবে। পাশাপাশি ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে‍। ‘ইমিউনিটি গ্রোথ স্টেজ’ পার হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের হলে উঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করতে হবে। পূর্বে স্থগিত যেসব পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে, সেগুলো ১৫ই জুন থেকেই নিতে হবে‍।

‘টেম্পোরারি একোমোডেশন’ হিসেবে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ফাইনাল পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘টেম্পোরারি একোমোডেশন’ হিসেবে হল খুলে দিয়ে পরীক্ষা নিতে হবে। হলে সিটের সংখ্যা বিবেচনায় এক বা দুইটি সেশন একসাথে হলে উঠিয়ে (টেম্পোরারি একোমোডেশন) ১ জুলাই থেকে তাদের পরীক্ষা নিতে হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই যতটুকু সিলেবাস শেষ করা হয়েছে, তার উপর রিভিউ ক্লাস নিতে হবে (অনলাইন কিংবা অফলাইনে) এবং সম্পন্নকৃত সিলেবাসের মধ্য থেকেই পরীক্ষার প্রশ্ন নির্ধারণ করতে হবে।

হল খোলার দাবিতে ৬ জুন বিক্ষোভ করবে ঢাবি শিক্ষার্থীরা,, ঢাবিতে-পরীক্ষার্থীদের-জন্য-হল-খোলার-দাবিতে-৬-জুন-বিক্ষোভ-কর্মসূচি-ঘোষণা

উপ-কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ শিক্ষক রয়েছেন যাদের সমন্বয়ে একটি উপ-কমিটি গঠন করে দ্রুতই একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনামাফিক ধাপে ধাপে পরীক্ষার্থীদের হলে রেখে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে যেসব পদক্ষেপ প্রশাসনকে নিতে হবে তা হলো- ৭ দিন পরপর হল স্যানিটাইজ করা, ক্যাম্পাসে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, অছাত্র ও বহিরাগতমুক্ত হল নিশ্চিত করা‍‍।

শিক্ষার্থীদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউজিসি’র ঘোষণা অনুযায়ী আগামী সপ্তাহ থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে। পরীক্ষা চলমান অবস্থাতেই পর্যায়ক্রমে প্রথম ডোজ এবং সময়মত দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিয়ে ‘ইমিউনিটি গ্রোথ স্টেজ’ পার হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ীভাবে হল খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদুজ্জামান এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ। – ডি ডেইলি ক্যাম্পাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Created with Visual Composer