হাসান মাহমুদের সরলতার পেছনের গল্প

হাসান মাহমুদ। নামটা যেমন সাদাসিধা তাহার উদযাপনও তেমনি সাদসিধে। উইকেট পাবার পর যে এরকম উদযাপন না করেও থাকা যায় সেটাই ক্রিকেট বিশ্বে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

বয়স হয়েছে মাত্র ২৩ বছর, শান্ত প্রকৃতির ছেলে। চেহারায় সরলতার ব্যাপারটা স্পষ্ট, ছেলেটার নাম হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের তরুণ পেস বোলারের কথা বলছি। মাত্র আয়ারল্যান্ডের সাথে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার পরেও আহামরি কোন উদযাপন করতে দেখা যায়নি তাকে। খেলা শেষে প্রেস কনফারেন্সে ক্যাপ্টেন তামিম ইকবালের সাথে আসেন হাসান মাহমুদও।

হাসান মাহমুদকে প্রশ্ন করা হয় তার উদযাপন না করা নিয়ে। জবাবে বলেন, ‘করি না (উদযাপন) জাস্ট এমনিতেই।’ সাংবাদিকরা নাছড়বান্দা আরেকটু চেপে ধরতেই তিনি বলেন, ‘ব্যাটসম্যানকে আউট করে সেলিব্রেশন করলে মনে হয় ও মন খারাপ করতে পারে হয়তো, তাই সেলিব্রেট করি না।’

তরুণ পেসারের এই জবাবে হাস্যরসের সৃষ্টি হয় প্রেস কনফারেন্সে। সেই হাসি আসলে হাসান মাহমুদের বিনয় দেখে! সত্যিই কি পেসাররা এত মানবিক হন? কি বোকার মতো প্রশ্ন করে বসলাম! মানবিক না হলে কি আর হাসান মাহমুদের প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের মন খারাপের কথা ভাবতে হয়। হাসান মাহমুদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। সরলতায় যেমন সবার মন কেড়ে নিয়েছে তেমনি একদিন বিশ্বসেরা বোলার হয়ে সবার মন কেড়ে নিক।

Created with Visual Composer