৭ নং পজিশনের জন্য বিবেচনায় ৫ জন টিকবেন ২ জন
৭ নং পজিশনের জন্য বিবেচনায় ৫ জন টিকবেন ২ জন। বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের জন্য কেমন হতে যাচ্ছে দল? সে দলের প্রতিটি পজিশনই প্রায় চূড়ান্ত। ১-৬ পর্যন্তা কারা ব্যাটিং করবেন কিংবা একাদশে কোন ৩ জন পেসার খেলবেন সবই চূড়ান্ত বলা যায়। কিন্তু এখনও ঠিক হয়নি ৭ নং পজিশনের খেলোয়াড়। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ৭নং পজিশনে একজন পাওয়ার হিটার কিংবা একজন ফিনিশারের অভাব চিরায়িত। এই সমস্যা সমাধানে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে সুফল মেলে নি। বিশ্বকাপের আগেও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। ইয়াসির আলীকে দিয়েও ট্রাই করা হলো কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
শেষমেষ গোপন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে ৭নং পজিশনের জন্য রেসে আছেন ৫ জন সেখান থেকে বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাবেন দুজন ক্রিকেটার । দলে যেহেতু মুশফিক এবং লিটন দাস আছেন সেক্ষত্রে নুরুল হাসানের কিপিং সামর্থ্য বিবেচনায় আসছে না। দলে আসতে হলে তাকে এক্সট্রাঅরডিনারী কিছু করতে হতো। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা খারাপ হলেও শেষটা করেছেন অসাধারণ। শেষ ৪ মাচেই ফিফটি করে নির্বাচকদের বড় বার্তাই দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশেষ করে বিশ্বকাপের মত মঞ্চে অভিজ্ঞতা বড় বিষয়। তারপরও এখনই বলা যাচ্ছে না কার ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে। এটুকু বলাই যায় যে ৭নং পজিশনের জন্য ৪ জন খেলোয়াড়ই বিবেচনায় আছেন। কারণ মোসাদ্দেক বাংলাদেশকে একমাত্র বহুজাতিক টুর্নামেন্ট জিতিয়েছেন। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ বিবেচনায় তার রান চেকিং স্পিনটাও ক্যালকুলেশনে আসতে পারে। অন্যদিকে আফিফ তার সেরা ফর্মের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেরা ফর্মের আফিফ বাংলাদেশ দলের জন্য কি সেটা নতুন করে বলারও কিছু নাই। তবে যাই হোক এই ৪ জন থেকে যদি ২ জন বেছে নেয়া হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে থাকবেন আফিফ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বিশ্বকাপ দলের জন্য ৭ নং পজিশনের জন্য প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় আছেন ৫ জন। চূড়ান্তভাবে টিকবেন ২ জন।
৭নং পজিশনের জন্য লড়ছেন-
১. মাহমুদউল্লাহ
২. আফিফ হোসেন
৩. মোসাদ্দেক হোসেন
৪. নুরুল হাসান সোহান
৫. ইয়াসির আলী
আয়ারল্যান্ড সিরিজে ১ টা ম্যাচেও সুযোগ না পাওয়া ইয়াসির সম্ভবত রেসে থেকে ছিটকে গেছেন বাকি থাকলো ৪ জন। এই ৪ জনের মধ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ফর্ম বিবেচনায় আবার সবার উপরে আফিফ তারপর নুরুল হাসান তারপর মাহমুদউল্লাহ তারপর মোসাদ্দেক।
বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের সম্ভাব্য দল ও ব্যাটিং অর্ডারঃ
১. তামিম ইকবাল খান
২. লিটন কুমার দাস
৩. নাজমুল হোসেন শান্ত
৪. তাওহিদ হৃদয়
৫. সাকিব আল হাসান
৬. মুশফিকুর রহিম
৭. আফিফ হোসেন
৮. মেহেদী হাসান মিরাজ
৯. তাসবিন আহমেদ
১০. হাসান মাহমুদ
১১. মোস্তাফিজুর রহামন
বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চের অভিজ্ঞতা ও রেকর্ড বিবেচনা আবার সবার উপরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।