জি কে শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত দেহরক্ষীসহ শামীম গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোট চারটি মামলা হয়। এখন তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলমান।

গ্রেপ্তারের আগে শামীম কখনো নিজেকে যুবলীগের সমবায়বিষয়ক সম্পাদক পরিচয় দিতেন। আবার কখনো পরিচয় দিতেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে। তিনি চলতেন সামনে-পেছনে সাতজন সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের বড় কাজের প্রায় সবই ছিল তাঁর প্রতিষ্ঠানের কবজায়।

২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র মামলায় শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর শামীমসহ তাঁর সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় র‍্যাব। ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত।

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী। তাঁর দুষ্কর্মের সহযোগীরা উচ্চ বেতনভোগী। তাঁরা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে তা বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।