বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে তিনি লিখিত পদত্যাপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মাঈনুল হাসান তুষার।

আব্দুস সাত্তার সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে বিএনপির টিকেটে এমপি নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। ফলে এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন স্পিকার। এই আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন। উপনির্বাচনকে সামনে রেখে দল থেকে তার পদত্যাগ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির টিকেটে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে জোটকে আসনটি ছেড়ে দিলে টেকনোক্রেট কোটায় তিন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। জীবনের বেশির ভাগ সময় রাজনীতির সাথে জড়িয়ে থাকা উকিল আব্দুস সাত্তার এখন বয়সের ভারে ন্যূব্জ।

এ ব্যাপারে তার ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া তুষার বলেন, দল বর্তমানে উনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে উনাকে ডাকছেন না। কিছু জিজ্ঞেস করছেন না। দলের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে তাঁকে আর প্রয়োজন নেই। তাই তিনি নিরিবিলি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছেন। তিনি পরিবারসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে পরামর্শ করেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তুষার বলেন, বাবা আসন্ন উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কিনা এই বিষয়ে আমরা ভাবছি না।

এদিকে প্রবীণ এই নেতা দল থেকে পদত্যাগ করায় গুঞ্জন উঠেছে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করে আসন্ন সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশ নেবেন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নিঃসন্দেহে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ও ভালো মানুষ। তবে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করে সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কী না, বিষয়টি আমার জানা নেই।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার পদত্যাগের বিষয়ে দলীয়ভাবে আমাদের কিছু জানা নেই। তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, তাও আমি জানি না। এ বিষয়ে আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

আপনার মন্তব্য