আত্মহত্যা প্রতিরোধে ‘এন্টি-সুইসাইডাল স্কোয়াড’ এর আত্মপ্রকাশ

0
78

“প্রত্যেকটি মানুষের প্রাণ, আমাদের কাছে মূল্যবান ” এই স্লোগান কে সামনে রেখে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন এন্টি-সুইসাইড স্কোয়াড(Anti-Suicidal Squad) নামের আত্মহত্যা বিরোধী একটি সংগঠন। এই সংগঠনে যুক্ত হওয়ার আগ্রহীদের বেশির ভাগই বয়সে তরুণ,যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা কলামিস্ট ও তরুণ নাট্যকার কাবিল সাদি এ প্রসঙ্গে বলেন,”সম্প্রতি আমাদের চারপাশে আত্মহত্যার ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারীর পর এটি আশঙ্কাজনক হারে ধারাবাহিক ভাবে বেড়েই চলেছে;বিশেষ করে তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে এই ঘটনার হার উল্লেখযোগ্য। আমরা হারাচ্ছি আমাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত স্বজন ও পরিচিতদের।আমাদের একটু পরামর্শ ও ভালবাসা পেলেই বদলে দিতে পারে তার এই বিপদজনক সিদ্ধান্ত। ভিক্টিমদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।তাই এখনই এই ব্যধির বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারেল সামনে আরও ভয়াবহ পরিণতি দেখতে হবে।”

অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন হওয়ার যুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,ইদানীং লক্ষণীয় বেশিরভাগ ভিক্টিম কোনও না কোনো ভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথা ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে তার হতাশা ব্যক্ত করতে দেখা যায় আবার কেউ কেউ ফেইসবুকে ঘোষণা দিয়ে বা ফেইসবুক লাইভে এসেও আত্মহত্যা করছেন তাই আমাদের কাজ হলো এমন তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে যথাসাধ্য তাদের সাথে যোগাযোগ করা এবং না পারলে অন্তত তার কাছাকাছি অবস্থানরত বন্ধু বা আত্মীয় স্বজনকে জানানো।

সংগঠনের কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে তিনি জানান,তথ্যদাতা,রেস্কিউ ও কাউন্সেলিং স্কোয়াডে ভাগ হয়ে এই সংগঠনের সদস্যরা কাজ করবেন। তাছাড়া এই সংগঠনের সাথে যুক্ত মনোবিজ্ঞানীরা ভিক্টিমদের কাউন্সিলিং,পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিবেন।সবচেয়ে মূল কথা কোনো ব্যক্তিই যেন এ পথে না আগায় সে জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টিও এই সংগঠনের অন্যতম প্রধান কাজ যা মিডিয়া বিভাগের সদস্যরা করবেন।আমরা শুধু স্বেচ্ছাসেবী আগ্রহীদেরই কেবল সদস্য হিসেবে নিচ্ছি।তাই সবাই এই সংগঠনে থাকবেন না তবে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি”সাম্প্রতিক সময়ে আশঙ্কাজনক হারে আত্মহত্যার ঘটনা লক্ষণীয়।

এই সপ্তাহেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। হঠাৎ আত্মহত্যা প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সমাজ ও মনোবিজ্ঞানীরা অশনিসংকেত হিসেবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষ করে ভিক্টিমদের বড় অংশই যেখানে শিক্ষিত তরুণ। একইসাথে সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন করোনাকালীন ঘরবন্দী পরিবেশ, চাকুরী না পাওয়ার হতাশা শিক্ষিত তরুণদের এই পথে ধাবিত করছে। তাই অভিভাবকদের সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।একই সাথে তরুণ যুব সমাজের মধ্যে এই প্রবণতা বৃদ্ধির কারণ উদঘাটনের পাশাপাশি তা সমাধানের পরামর্শও দেন।

আপনার মন্তব্য