পর পর পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জেতালেন রিঙ্কু সিং। তার ঝড়ে উড়ে গেল গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স।  ঠিক এমন একটা দিনে রিংকু সিং এই কীর্তী গড়লেন যেদিন ক্রিকেট বিশ্বে ব্যাটসম্যানদের জন্য ত্রাস হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন রশিদ খান। করেছিলেন হ্যাটট্রিকও। কিন্তু দিনটি ছিলো কেবলই রিংকু সিংয়ের।

প্রথম ইনিংস শেষে মনে হয়েছিল, এই উইকেটে ম্যাচ জেতা কঠিন হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কিন্তু কেকেআরের দুই ব্যাটার বেঙ্কটেশ আয়ার ও নীতীশ রানা ভালোভাবেই সামলাচ্ছিলেন পরিস্থিতি। জয়ের আশা জাগিয়ে রেখেছিলেন তারা।

কিন্তু রশিদ খানের হ্যাটট্রিকে সেই আশা ফিকে হয়ে আসছিল। ব্যর্থতার দিকেই হাঁটছিলেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, শার্দুল ঠাকুরা। তবে জাত চেনালেন রিঙ্কু। জানিয়ে দিলেন ‘ক্রিকেট মহা অনিশ্চয়তার খেলা।’ শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কোনও কিছুই নিশ্চিত নয়।

গুজরাটের দেওয়া ২০৫ রানের টার্গেট শেষ পর্যন্ত রিঙ্কু ঝড়ে উতরে গেছে কলকাতা। ওরা নির্ধারিত ২০ ওভারে করেছে ২০৭ রান। ২১ বলে ৪৮ রানে থেমেছেন রিঙ্কু। তিনি শেষ ওভারে যশ দয়ালের ওপর রীতিমতো চাবুক চালিয়েছেন। তিনি শেষ ওভারেই নিয়েছেন ৩১ রান।

অথচ এই রিংকু সিংকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। ২০১৮ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে কলকাতা দলে যোগদান ঘরের ছেলে হিসেবেই। নামের সাথে কোন তারকাখ্যাতি ছিলো না। খেলেননি ভারতের অনূর্ধ-১৯ দলের হয়েও। তারপরও তার উপর আস্থা বিশ্বাসের কমতি ছিলো না কলকাতার টিম ম্যানেজমেন্টের। টানা ৫ বছর ধরে কলকাতায় রিংকু সিংকে রেখে দেয়া নিয়েও কলকাতার টিম ম্যানেজমেন্টেকে কম দুয়ো খেতে হয়নি। কিন্তু আস্থার দারুণ প্রতিদান দিয়ে সেই রিংকু সিংই এখন কলকাতার টক অব দ্যা টাউন। রীতিমত প্রশংসাবানে ভাসছেন।

আপনার মন্তব্য