জ্ঞানের পাশ মার্ক হচ্ছে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে পাওয়া

জ্ঞানের পাশ মার্ক নিয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে। জ্ঞানের পাশ মার্ক হচ্ছে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে পাওয়া। কে কতটা জ্ঞানী এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই। মুসলিম-অমুসলিম থেকে শুরু করে আস্তিক থেকে নাস্তিক সবার মাঝেই জ্ঞান নিয়ে চলে বড়াই অহংকার তর্ক এবং বিতর্ক। সেই জ্ঞান নিয়েই আজ কিছু কথা বলবো যা বুঝতে পারবেন উপসংহারে। জ্ঞান নিয়ে কিছু কথা বলার আগে চলুন পৃথিবী , চন্দ্র, সূর্য , বিশ্ব এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে কিছু জেনে নেই।
পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার ! পৃথিবীর থেকে সূর্য ১৩ লক্ষ গুণ বড়! সেই সূর্যের চেয়ে ৩০ বিলিয়ন গুণ বড় কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই রকম শত সহস্র কৃষ্ণগহ্বর নিয়েই মহাবিশ্ব।
সবচেয়ে মজার বিশ্ব সূর্যের চেয়েও ৯০০ থেকে ১২০০ গুণ বড় একটি নক্ষত্র আছে যার নাম Betelgeuse (বীটেলজীউস)। মহাবিশ্বে এরকম কোটি কোটি নক্ষত্র রয়েছে। আমরা অনেকই পড়েছি নক্ষত্রদের খসে পড়ার কথা। এই যে মহাবিশ্বে কোটি কোটি নক্ষত্র রয়েছে তার কোনটিই কেন পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসে আঘাত করে না?
বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর বয়স ৪.৫৩ বিলিয়ন বছর। আপনার কি মনে হয়? কলা বিজ্ঞানী ভাইদের কি মনে হয়? ১ জন নিয়ন্ত্রক ছাড়াই সবকিছু ঠিকঠাক চলছে? এই মহাবিশ্বে যদি একাধিক ক্রিয়েটর থাকতো কিংবা কোন ক্রিয়েটরই না থাকতো তাহলে এই মহাবিশ্ব ৪.৫৩ বিলিয়ন বছর দূরে থাক ৪৫৩ বছর না ৪৫ দিনও আপনি নিয়মে চলতে পারতো না। কাজেই আর কোন সংশয় নয় এই মহাবিশ্বের একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন যিনি আমাদের মহান রব।
সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর যার দেয়া জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এই পৃথিবীর সীমা ছাড়িয়ে চন্দ্র-সূর্যের হিসেব শেষ করে নক্ষত্র সম্পর্কে ধারণা নিয়ে কৃষ্ণ গহ্বরের হিসেব মিলিয়ে শান্ত হয়ে বসে আছি। আমি আদম সন্তান কিভাবে সেই মহান রবের আদেশ নিষেধ অমান্য করি? আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য পথের সন্ধান দাও। সবাইকে হেদায়াত দাও। দুনিয়া একটা পরীক্ষাক্ষেত্র ছাড়া কিছু নয়।
নিশ্চয়ই আখেরাতের জীবনই সব। সেই জীবনের তুলনায় এই জীবন ৯ হাজার কোটি বিলয়ন বছরের 0.000001 ভাগও না। কার্যত অসীম সেই জীবনের দিকে আমাদের ধাবিত করুন। কাজেই এই দুনিয়ায় যে অবস্থাতেই থাকি না কেন আলহামদুলিল্লাহ।
পৃথিবীর কে জ্ঞানী আর কে মূর্খ এই তর্কের খুব সহজ একটা উত্তর আছে। হায়ার ম্যাথে মাস্টার হওয়া কিংবা বড়মাপের কোন প্রোগ্রামার হবার চেয়ে সেই ব্যক্তি বেশি জ্ঞানী যে খুব সহজেই সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে পান। শত সহস্র বই পড়ার পরও কেউ যদি সৃষ্টিকর্তাকেই খুঁজে না পান তাহলে সেও নির্বোধ, মূর্খ। আবার কেউ কোনদিন স্কুলে না গিয়েও যদি সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে পান তাহলে সে জ্ঞানী। জ্ঞানের পাশ মার্ক হচ্ছে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে পাওয়া।