সৃষ্টিশীল কবি ও লেখক মাহবুবুর রহমানের নতুন কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। কবিতার নাম বিমুগ্ধ বাঙালী। জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ ট্র্যাকারে কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয়।

  বিমুগ্ধ বাঙালী
– মাহবুবুর রহমান


বর্ষার ফোঁটায় ফোঁটায় ভিজে যাওয়া এই বাংলার আকাশে উড়া প্রতিটি কাক,
কিংবা অনেক আকাশ উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া কর্কশস্বর কোন চিলের ডাক,
অথবা গভীর রাতে ক্ষণে ক্ষণে ইথারে ইথারে বয়ে যাওয়া প্রতিবেশী ঘুঘুর বাক,
অথবা দূর শ্মশানের কোন পথে সঙ্গী খোয়ানো শিয়ালের লম্বাটে সকরুণ হাঁক
আমার বড় আপন লাগে, অনেক কাছের বলে মনে হয়, আমার হৃদয়ের সবাক
প্রতিরূপ বলে মনে হয়, নিজেকে প্রিয় বাংলার গর্বিত মাটির গর্বিত এক বাহক
ও এ মাটির বুকে পরম মমতার চাদরে ঝরিয়ে শান্তিতে নিদ্রিত পিতাদের সজাগ
প্রতিবিম্ব বলে মনে হয়; আমিই বাংলা; আমার বোধোদয়ে আমি সতত অবাক।

বাড়ির দখিনে কুল গাছের তলে বাংলার জন্য অসময়ে ঘুমিয়ে পড়া কোন এক
মায়ের বুক উঁচু সন্তান সমাহিত হয়েছে যে বলতে চেয়েছিল বিদায়লগ্নে অনেক;
আজো তাঁকে জাগ্রত মনে হয়; মনে হয় সে তাঁর সেই বারুদে বন্দুক করে তাক
এখনই আবার গর্জে উঠে বলবে,”বাংলা আর বাংঙালীর শত্রুরা নিপাত যাক।”
নিজেকে বাংলার মানুষ, উজানের ঢল, সব ঋতুর ফল, বহু বর্ণিল পাখির ঝাঁক,
এ মাটির স্বর্ণাভ ফসল, শীতের হিম জল, নব বালিকার অসীম কালো দুই আঁখ,
মমতাময়ী মায়ের স্নেহের বকুনি, এ মাটির জন্য ঝরানো প্রতিটি রক্ত কণার দাগ,
আর আমি বাংলার ভেবে গর্ব করতে ভালো লাগে; এই ভালো লাগা বেঁচে থাক।

এই সাহসী মাটির অংশীদার বলে প্রত্যয় প্রগাঢ় হয়, বাংলাকে নিজের পরিচায়ক
বলে প্রতিক্ষণ প্রকাশের এক অহংবোধ আমার আত্মায় আত্মায় দিয়ে যায় ডাক;
আমি স্থির থাকতে পারি না;আমি স্বাধীন, আমি বাংঙালী,আমি দেই জোরে হাঁক,
“ধনে-প্রেমে-মানে-মনে-জনে-রনে আমার প্রিয় বাংলা চিরদিন ধরণীতে বেঁচে থাক।”

 

আপনার মন্তব্য